মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:দাবীকৃত যৌতুক না দেয়ায় উজিরপুরে স্ত্রী মুন্নি আক্তার মিমকে চেতনা নাশক ওষুধ সেবন করিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন করেছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার শোলক দত্তাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খরব পেয়ে উজিরপুর থানা পুলিশের এসআই মিজান মিমকে গুরুতর অবস্থা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। নির্যাতিত মিম চট্টগ্রাম আন্দারমানিক গ্রামের হেমায়েত হাওলাদারের মেয়ে। বর্তমানে সে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অভিযুক্তরা হলো ঃ উজিরপুরের দত্তাসার গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে সোহেল, তার মা মর্জিনা বেগম ও বোন রোজিনা বেগম।
নির্যাতিতার মা শিল্পী বেগম জানান, গত দেড় বছর পূর্বে উজিরপুরের দত্তাসার গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে সোহেলের সাথে ঢাকা গাজীপুরে বসবাসরত থাকাকালীন সময় হেমায়েত হাওলাদারের মেয়ে মিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয় পরিবার প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই সোহেল ব্যবসা করবে বলে মিমকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে বলে। মিম যৌতুক দিতে অপারগতা জানালে সোহেল তাকে রাতভর নির্যাতন করত। বাধ্য হয়ে মিম তার পরিবারকে জানালে তারা মেয়ের সংসারের কথা ভেবে সোহেলকে ১১ লাখ টাকা যৌতুক দেন। যৌতুক দিয়ে মিম আর সোহেলের সংবার বেশ কিছুদিন ভালোই চলছিলো। কিন্তু সম্প্রতি সোহেল পুনরায় মিমের কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে। মিম যৌতুক দিতে অপারগতা জানালে সোহেল তাকে নির্যাতন-অত্যাচার চালানো শুরু করে। এছাড়া সোহেল মিমকে গত ২/৩ মাস পূর্বে তার বাবার বাড়ি ঢাকায় রেখে যৌতুকের টাকা নিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে।
এছাড়া দাবিকৃত যৌতুক না দিলে মিমের সাথে ঘর-সংসার না করার হুমকি দেয় সোহেল। গত শনিবার মিমের পরিবার মিমকে নিয়ে উজিরপুর থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাকে সোহেলের বাসায় দিয়ে যায়। রেখের আসার ২ ঘন্টার মাথায় সোহেল, তার মা মর্জিনা বেগম ও বোন রোজিনা বেগম মিমের উপর অমানুসিক নির্যাতন শুরু করে। মিমকে এভাবে ২/৩ ঘন্টা টানা নির্যাতন করে সোহেলসহ অন্যান্যরা। এ সময় মিম যেন ডাকচিৎকার না করে পারে সেজন্য মিমমে জোরপূর্বক চেতনানাশক ওষুধ সেবন করায়। এমনকি গলা চেপে ধরে তাকে হত্যা করার চেষ্টা চালানো হয়। সংবাদ পেয়ে মিমের মা দ্রুত পুনরায় পুলিশের সহায়তা নিয়ে মিমকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, মিমের নির্যাতনের বিষয়টি শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে
Leave a Reply